যাদের চুল লম্বা তাদের চুল জট বাধা হলো নিত্যদিনের এক সমস্যা। যতই যত্ন করা হোক না কেন, চুলে কম-বেশি জট বাধবেই। এর বড় কারণ হলো চুলের বিভিন্ন ধরনের কাট ও স্টাইলিং।
অনেক সময় যত্নের অভাবেও চুল রুক্ষ হয়ে যায়। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিস প্রয়োজন সেটি হলো চিরুনি। আমাদের অনেকের কাছেই অজানা যে এই চিরুনির বিভিন্ন ধরনের উপরেও চুলের ক্ষতি নির্ভর করে।
চুল সুন্দর রাখার জন্য সঠিক চিরুনি ব্যবহার জরুরি। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কাঠের চিরুনি।
আজকের এ পোষ্টের মাধ্যেমে আপনারা জানতে পারবেন কাঠের চিরুনি ব্যবহারে কী উপকার মেলে-
১) কাঠের চিরুনি চুলে পুষ্টি পৌঁছে দেয়
আপনি যদি চুলে পুষ্টিগুণ বাড়াতে চান, তাহলে কাঠের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান। আমাদের চুল ও স্ক্যাল্পে প্রাকৃতিক যে তেল মজুত থাকে কাঠের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে তা সমানভাবে সব জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে।
এর ফলে চুলের বা স্ক্যাল্পের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় প্রাকৃতিক তেল জমা হয় না। পাশাপাশি চুলের গোড়া শক্ত হয়।
২) কাঠের চিরুনি ব্যবহারে নতুন চুল গজায়
নিয়মিত কাঠের চিরুনি দিয়ে চেপে চেপে চুল আঁচড়ালে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়বে। ফলে তাতে স্ক্যাল্প সুস্থ থাকার পাশাপাশি গজাবে নতুন চুল।
৩) কাঠের চিরুনি ব্যবহারে খুশকি দূর হয়
চুল পড়া বলুন বা অন্য যেকোনো সমস্যার মূল কারণ আমাদের মাথার তালু বা স্ক্যাল্প। আপনি প্লাস্টিক বা ফাইবারের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে তা সব ময়লা টেনে বের করতে পারে না।
প্লাস্টিকের চিরুনি রাসায়নিক পদ্ধতিতে তৈরি। এর ফলে চুল আঁচড়ানোর সময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্টিকেলস স্ক্যাল্পে পড়তে পারে। সেখান থেকে স্ক্যাল্পে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অপরদিকে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এ ধরনের কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। কাঠের চিরুনি স্ক্যাল্প থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে পারে। যে কারণে কমে খুশকির সমস্যা।
৪) কাঠের চিরুনি ব্যবহারে চুল পড়া কমায়
ফাইবার কিংবা প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে অনেক সময় চুল ভেঙে যেতে পারে। অনেক সময় আমরা খেয়ালও করি না। এরপর দেখা দেয় চুলের ডগা ফাটার সমস্যা।
চুল ভেঙে যাওয়ার কারণে চুল দুর্বল হতে থাকে, বাড়ে চুল ঝরার ভয়। নষ্ট হয় চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য। কাঠের চিরুনি ব্যবহারে এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা যায় না।
কাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় ঘষা লেগে স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি তৈরি হয় না। যে কারণে চুল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
Leave a Comment