রূপচর্চায় মধু খুবই উপকারী। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ত্বকের যত্নসহ নানাবিধ কাজে মধু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিয়মিত মধু ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল।
তুলসী পাতার সাথে মধু
তৈলাক্ত ত্বকে তুলসী পাতা আর মধু বেশ কার্যকর। তুলসী পাতা থেকে রস বের করুন। ১ টেবিল চামচ পরিমাণ রস হলে ছেঁকে নিন। রস ছেঁকে নিয়ে পাতার বাকি অংশটুকুর সাথে ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ফেলুন। তুলার সাহায্যে তুলসী পাতার রসটুকু মুখে লাগিয়ে নিন টোনারের মতো।
৫-৭ মিনিট পর রস শুকিয়ে এলে ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন এভাবে মধু দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন। তবে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি হলে সপ্তাহে ২-৩ দিনও ব্যবহার করতে পারেন।
গোলাপজলের সাথে মধু
ত্বক মিশ্র প্রকৃতির হলে গোলাপজল এবং মধুর ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ফেসপ্যাকটি তৈরির জন্য ১ কাপ পুদিনা পাতা ধুয়ে চটকে নিন।
এই রস তুলার সাহায্যে মুখের ত্বকে লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার ১ চা-চামচ মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন।
মিশ্রণটি তুলার সাহায্যে একইভাবে মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
পুদিনা পাতার সাথে মধু
পুদিনা পাতা নিন ১ টেবিল চামচ। পাতা পিষে নিয়ে এর সঙ্গে মেশান ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি এবং ১ চা-চামচ মধু। কোনো পানি মেশাবেন না। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটিও শুস্ক ত্বকের জন্য কার্যকরী।
টক দইয়ের সাথে মধু
এক টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে।
মধু ও কলার প্যাক
এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে সামান্য কলা চটকে নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এর পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে।
Leave a Comment