তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ধুলোবালি আটকে যায়। ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে ব্রণ বেশী হয়। তৈলাক্ত ত্বকে গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীত যেকোনো ঋতুতে আপনার ত্বকে প্রায় সারা বছর ব্রণ লেগেই থাকে।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বাইরের রাসায়নিকসমৃদ্ধ প্রসাধনীর চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো বেশি কার্যকর।
আসুন জেনে নিই প্রাকৃতিক উপাদানে ঘরোয়াভাবে তৈরি কিছু ফেসপ্যাক সম্পর্কে, যা ব্রণ কমিয়ে মুখে ফিরিয়ে আনবে উজ্জ্বলতা।
১) কলার খোসা
কলার খোসা ব্লেন্ড করুন। ২ টেবিল চামচ কলার খোসার পেস্টের সাথে আধা চা চামচ মধু ও আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে নিন।
ফেস প্যাকটি ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন ত্বকে। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।
ব্রণের দাগ দূর করতে- রাতে ঘুমানোর আগে কলার খোসার ভেতরের অংশ ব্রণের দাগের উপর ঘষুন। সারারাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
২) চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে দুধ বা গোলাপ জল
চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে দুধ বা গোলাপ জল মিশিয়ে তাতে অল্প হলুদ দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে সেটা মুখে লাগাতে পারেন।
তারপর ১৫ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকবে। তৈলাক্ত ভাব দূর হবে, একই সঙ্গে মুখের দাগ ছোপ কমে আসবে।
৩) লেবুর রস এবং মধু
এক-চতুর্থাংশ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, আধা চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
মুখে লাগিয়ে শুকাতে দিন, শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।
৪) গ্রিন টি
গ্রিন টি ব্রণের জন্য বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ২ চামচ গ্রিন টি, ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ চালের আটা নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৫) বেসন
বেসনকে বলা হয় প্রাকৃতিক ফেসওয়াশ। এটি মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ব্রণের জন্যও কাজ করে।
২ চামচ বেসন ও ৪ চামচ দুধ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট মুখে এবং গলায় লাগান।
১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন।
Leave a Comment