Weight Loss

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভুল ধারণাগুলো জেনে নিন

খাবারের জন্য সময় অনুসরণ না করলে ওজন বাড়তে পারে এই ধারণা অনেকেরই আছ। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিছু ভুল ধারণা আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।

প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাবার না খেলেই যে ওজন বেড়ে যাবে, এটি পুরোপুরি সত্যি নয়। তবে সুশৃংখল জীবন যাপনে অনেক উপকার রয়েছে।

আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ওজন কমানোর কয়েকটি ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা করব।

ওজন কমানোর কয়েকটি ভুল ধারণা

কিছু ভুল ধারণা আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে পারে। অনেক সহজ বিষয়ই জটিল হয়ে আপনার সামনে ধরা দিতে পারে। তাই আগে বোঝার চেষ্টা করুন।

ভুল ধারণা -১: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ব্যয়বহুল

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য খুব বেশি টাকা-পয়সার প্রয়োজন নেই। সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী অল্প খরচেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সম্ভব।

খাবারের তালিকায় প্রধান খাদ্য যেমন ভাত, মটরশুটি, মসুর ডাল, ওটস, ডিম, মৌসুমি ফল এবং শাকসবজি রাখুন।

শাকসবজি

বাইরের খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে ঘরে তৈরি খাবার খেতে চেষ্টা করুন। কারণ বাইরের খাবার ব্যয়বহুল এবং অস্বাস্থ্যকর হওয়ার ভয় বেশি থাকে। বাড়িতে রান্না করা খাবার খেলে তা স্বাস্থ্যকর হবে এবং খরচও হবে কম।

ভুল ধারণা -২: চর্বি খেলে ওজন বাড়ে

আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন অ্যাভোকাডো, বাদাম, বীজ এবং অলিভ অয়েলে পাওয়া ফ্যাট হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য বেশ উপকারী ভূমিকা পালন কর।

Olive oil
অলিভ ওয়েল

এই ফ্যাট ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ভাজা খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায়। তাই এগুলো অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।

ভুল ধারণা -৩: ওজন কমানোর জন্য খাবার বাদ দেওয়া উচিত

ওজন কমানোর খাবার এড়িয়ে যাওয়ার ফলে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। মনে করুন আপনি এক বেলা খাবার বাদ দিলেন, তাহলে পরের বেলায় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এই প্রক্রিয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

এর বিকল্প হিসেবে সারাদিন অল্প অল্প এবং বার বার খাবারের দিকে মনোযোগ দিন। সারা দিন ভারসাম্যপূর্ণ, পরিমিত খাবার এবং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের দিকে মনোযোগ দিন।

ভুল ধারণা -৪: উদ্ভিদ বা প্রাণীজ প্রোটিন একই রকম

প্রাণীজ এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন উভয়ই স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অংশ হতে পারে। তবে পুষ্টি উপাদানের দিক থেকে উভয়েই আলাদা।

প্রাণীজ প্রোটিন, যেমন মাংস, মুরগি এবং মাছ প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সহ সম্পূর্ণ প্রোটিন সরবরাহ করে।

মটরশুটি, শিম, বাদাম এবং টফুর মতো উদ্ভিদ-ভিত্তিক উৎসগুলোও যথেষ্ট প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে।

তবে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড নিশ্চিত করতে কিছু সংমিশ্রণের প্রয়োজন হতে পারে। বৈচিত্র্যময় খাবারের তালিকা আপনাকে শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে সাহায্য করবে।

ভুল ধারণা -৫: চিনির বদলে মধু বা গুড় বেশি খেলেও সমস্যা নেই

আমরা অনেকেই মনে করি যে চিনির বিকল্প হিসেবে মধু বা গুড় খেলেও সমস্যা নেই। বিষয়টি মোটেও সঠিক নয়।

মধু

প্রাকৃতিক এবং অল্প প্রক্রিয়াজাত শর্করা যেমন গুড় এবং মধু পরিশোধিত শর্করার তুলনায় স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পার, তবুও এগুলো শর্করাই।

তাই চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় বা মধু খেলেও তার পরিমাণের দিকে নজর রাখা উচিত। যেকোনো উপকারী খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

উপসংহার

পরিশেষে বলা যায় যে, ওজন কমাতে উপরোক্ত ভুল ধারণা গুলো জেনে। ফটিক নিয়ম অনুসরণ করা উচিত।

About the author

Alpona Uddin

Alpona Uddin graduated with a BBA in 2011. Since then, Alpona has worked in the fashion and beauty products retail industry. She is also the head writer and founder of AlponaWeb.com.

Leave a Comment