ঈদের দিনের স্পেশাল খাবার তালিকা: ৫ টি মুখরোচক রেসিপি

বাংলাদেশে ঈদ মানেই পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মিলিত হওয়া এবং খাওয়াদাওয়ার রং জমানো। বিশেষ করে ঈদের দিনে রান্নাঘরে গন্ধ ছড়ায় ঘরজুড়ে, আর তাই এই দিনগুলোর জন্য মেনুতে থাকে কিছু বিশেষ ও মুখরোচক খাবার। আজকের লেখায় আমরা আলোচনা করবো ঈদের দিনের স্পেশাল খাবার তালিকা, যা আপনাকে দাওয়াতের অনুষ্ঠান বা পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে সাহায্য করবে।

ঈদে সাধারণত কোন ধরনের খাবার তৈরী করা হয়?

ঈদের মেনুতে থাকে নানারকম মাংসের রান্না, ঝরঝরে পোলাও, মিষ্টান্ন, এবং পানীয়। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ঈদ মানেই গরুর মাংসের কোরমা বা বিরিয়ানি, মোরগ মোসাল্লাম, সেমাই বা খিরের মতো মিষ্টি। চলুন দেখে নেওয়া যাক ঈদের মেনুতে যেসব খাবার সাধারণত স্থান পায়—

১. শাহী মোরগ মোসাল্লাম

শাহী মোরগ মোসাল্লাম ঈদের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। মুরগির মাংস বিভিন্ন মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মেরিনেট করে ঘি-তেলে ভাজা হয়, তারপরে দই ও বাদামের মিশ্রণে ঝোল তৈরি করা হয়। গরম মসলা, এলাচ, দারুচিনি, কেওড়াজল দিয়ে সুগন্ধী করে পরিবেশন করা হয়। অতিথিদের আপ্যায়নে এটি একেবারে উপযুক্ত।

২. ঝরঝরে শাহি পোলাও

পোলাও না হলে ঈদের আনন্দ পূর্ণ হয় না। ঝরঝরে, সুগন্ধী শাহি পোলাও তৈরি করতে হয় ভালো মানের বাসমতী চাল, ঘি, তেল, বাদাম, কিশমিশ, আলু বোখরা এবং বিভিন্ন গোটা মসলা। চালের সঙ্গে জাফরান ভেজানো পানি মিশিয়ে পোলাও ঝরঝরে ও সুস্বাদু হয়।

৩. কাটা মসলায় গরুর মাংস

ঈদ মানেই গরুর মাংসের খাবার। গরুর মাংস কাটা মসলায় মেরিনেট করে ভাজা-সিদ্ধ করলে স্বাদে ভিন্ন এক মাত্রা পাওয়া যায়। আদা, রসুন, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, গোলমরিচের সঙ্গে মাংসের মেরিনেশন খাওয়াদাওয়ার মেজাজকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

৪. লাচ্ছা সেমাইয়ের খিরসা

ঈদের মিষ্টি রান্নায় সেমাই, পায়েস বা জর্দা থাকে অন্যতম। এবার একটু ভিন্নতা আনুন লাচ্ছা সেমাইয়ের খিরসা দিয়ে। লাচ্ছা সেমাই ভেজে, খিরসা ও সিরার লেয়ার তৈরি করে ওভেনে বেক করলে সেমাইয়ের মিষ্টি স্বাদ আরো বাড়ে। বাদাম কুচি ছড়িয়ে ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

৫. আরও কিছু জনপ্রিয় ঈদের খাবার

  • মোগলাই বিরিয়ানি: মুরগি বা গরুর মাংস দিয়ে সুগন্ধী বিরিয়ানি।
  • চিকেন কালিয়া: মশলাদার মুরগির তরকারি।
  • জর্দা: চাল ও চিনি দিয়ে মিষ্টি খাবার।
  • খেজুরের শরবত বা মুরব্বা: পানের সঙ্গে খেতে উপযুক্ত।

কীভাবে সাজাবেন ঈদের মেনু?

  • খাবার বাছাই করার সময় স্বাদের পাশাপাশি রঙ-তুলার প্রতি মনোযোগ দিন।
  • মাংসের রান্নার সাথে মিষ্টির সামঞ্জস্য রাখুন।
  • অতিথিদের সংখ্যা এবং তাদের পছন্দ-অপছন্দ বিবেচনা করে পরিকল্পনা করুন।
  • রান্না সহজ ও দ্রুততার দিকে লক্ষ্য রাখুন, যাতে পুরো পরিবার উপভোগ করতে পারে।

উপসংহার

ঈদের আনন্দের মূল উৎস হলো সুস্বাদু খাবার। পরিবারের সকল সদস্য ও অতিথিদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য ঈদের দিনের স্পেশাল খাবার তালিকা সাজানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত রেসিপিগুলো অনুসরণ করলে আপনার ঈদের দিন হবে স্মরণীয় ও আনন্দঘন।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।